সম্পাদকীয়
Photon অথবা আলোক-কণা। এই আলোক কণাই হোল আলো – আধুনিক কোয়াণ্টাম তত্ব বিশেষ। আলো কখনও কণা, কখনও বা তরঙ্গ। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের শব্দকোষে সমস্যা-বালক। এখন আবার ‘কোয়াণ্টাম’। আর, পৌরাণিক মননে সূর্যদেব সাত অশ্বের রথে করে টগবগ। সাত অশ্ব মানে সাত রশ্মি। বিভিন্ন তাদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য। তাদের মিলমিশে দৃশ্যমান আলো। অর্থাৎ যা আমাদের চক্ষুগ্রাহ্য। এই আলোতে আরও মিশে থাকে অতিবেগুনী ও অবলোহিত। কিন্তু বৈজ্ঞানিক কারনে দৃষ্টিগোচর নয়। রঞ্জেন রশ্মী থেকে এক্স-রে সবই ’আলো’ কিন্তু আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়। দৃশ্যমান অথবা অদৃশ্য যে আলোর ঝর্নাধারা তারও মৌলিক উপাদান হল ফোটন। আর এই আলো আমাদের ঘিরে থাকে। ওঠে আর নামে নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে। আর সেই আলোর এক কণা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই এই গর্ভসঞ্চার। হোক চর্চা – আসুক আনন্দ। হোক মঙ্গল। এই আশা থেকেই লেখনী । আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে। এক অবর্ণনীয় আলোর ভাবনা।
আমাদের নিজেদের কিছু চিন্তন ও ভাবনা আছে। আর এই ভাবনার বিস্ময়কর প্রকাশ পাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভারতবর্ষে ইতিহাসের ধারা’-তে। তাই তাঁকে প্রণাম জানিয়েই তাঁর এই লেখাটি তুলে দিলাম। আমরা ইতিহাস অন্বেষী ।
ভালো থাকবেন। আলোকময় হোক জীবন।